ইন্সট্রাক্টর
কেনাকাটিঃ
কম্পনেন্ট | নাম | পরিমাণ |
---|---|---|
Arduino Uno/Nano | *১ | |
LiquidCrystal LCD 16 x 2 | *৮~১০ | |
Resistor 10 kΩ | * ১ | |
Jumper wires (Male to Male & Male to Female) | *১৮~২০ |
10K ohm Potentiometer | *১৮~২০ |
16*2 LCD I2C Module | *১৮~২০ |
প্রজেক্টের খুঁটিনাটি
তােমার ক্যালকুলেটরের ডিসপ্লে , তােমার হাতের ডিজিটাল ঘড়ির ডিসপ্লে হলাে LCD, অনেকে নিশ্চয়ই LCD টিভিও দেখেছ।
LCD পূর্ণরূপ হচ্ছে Liquid Crystal Display । আজকে তুমি একটা LCD স্ক্রিনে তােমার নিজের নাম লিখে প্রিন্ট করবে ।
বাজারে অনেক রকমের ডিসপ্লে পাওয়া যায় । আমরা ব্যবহার করব ১৬*২ ডিসপ্লে। এর মানে প্রতিবারে তুমি এখানে ৩২টা অক্ষর প্রিন্ট করাতে পারবে।
তোমর কাছে থাকা এলসিডি ডিসপ্লেটি খেয়াল করে দেখ,এখানে ১৬ টি কলাম বা ব্লক রয়েছে এবং ২ টি সারি বা রো রয়েছে। প্রতি ব্লকে একটি করে অক্ষর প্রিন্ট করতে পারো। তবে যখন তুমি কোড লিখবে তোমাকে মনে রাখতে হবে কলাম আর সারি সংখ্যা কোড এ শূন্য (০) থেকে শুরু হয়। অর্থাৎ ০,০ লিখার সবার বামে প্রথম ব্লক হচ্ছে ০ তম এ ছাড়া আছে একটু বড় সাইজের ১৬*৪ ডিসপ্লে। দামে একটু বেশি।
এই প্রজেক্টে তোমার প্রয়ােজন হবে একটি পটেনশিওমিটার। পােটেনশিওমিটার দিয়ে আমরা ডিসপ্লের ব্রাইটনেস কমবেশি করব। আমরা এই ডিসপ্লে দিয়ে যেকোনাে কিছু করতে পারি। আমাদের কোনাে কিছু কাউকে দেখাতে হলে আমরা প্রিন্ট করে দেখাতে পারি । তুমি চাইলে একটা ক্যালকুলেটর বানাতে পারাে, চাইলে বানাতে পারাে ঘড়ি আরও কত কী!
চলাে কথা না বাড়িয়ে আমরা নেমে পড়ি আরডুইনােতে কানেকশন দিতে :
ডায়াগ্রাম দেখে কম্পনেন্টগুলো সাজিয়ে ফেল !
প্রথম একটা এলসিডি স্ক্রিনের পিনগুলোর নাম এবং পিনগুলাের কাজ বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি। এলসিডিতে ১৬ টি পিন রয়েছে। পিনগুলাে আমরা গােনা শুরু করব বাম দিক থেকে। সবচেয়ে বামেরটা হচ্ছে ১ নম্বর পিন আর একদম ডানেরটা ১৬।
১ নং যাচ্ছে গ্রাউন্ডে। মানে কানেকশনের সেই নেগেটিভ অংশ । LCD VSS pin to ground
২ নং যাবে 5V এ, মানে কানেকশনের পজেটিভ অংশ। LCD VCC pin to 5V
৩ নম্বর হচ্ছে ডিসপ্লের কন্ট্রাস্ট পিন,এটি যাবে পটেনশিওমিটারের মাঝের Output Pin এ । এই পিন দিয়ে তুমি আলাের তীব্রতার কমবেশি করতে পারো।
৪ নং হচ্ছে রেজিস্টার সিলেক্ট পিন (RS pin),যাবে Digital pin 12
৫ নং রিড-রাইট পিন যাচ্ছে গ্রাউন্ডে,এটি ডেটা পড়ব না, ডেটা রাইট করব, এটা জানায়।
৬ নং Enable যাবে Digital pin 11
DO-D7 হচ্ছে ডাটা পিন (data pins)। D0-D3 কোন কানেকশনের প্রয়োজন নেই।
১১ নং D4 pin যাবে digital pin 5
১২ নং D5 pin যাবে digital pin 4
১৩ নং D6 pin যাবে digital pin 3
১৪ নং D7 pin যাবে digital pin 2
১৫ নং রেজিস্টরের(১০k ohm) সাথে 5V এ, মানে কানেকশনের পজেটিভ অংশের সাথে যুক্ত
১৬ নং যাবে গ্রাউন্ডে বা নেগেটিভ প্রান্তে
শেষের দুইটা পিন, অ্যানােড-ক্যাথড অনেকটা এলইডি বাতির ধনাত্মক-ঋণাত্মক প্রান্তের মতাে কাজ করে। এরা ব্যাকলাইট ঠিক করে ।
নতুন কেনার পর এলসিডি স্ক্রিনে জাম্পার ওয়্যার যুক্ত করার মতন ব্যবস্থা থাকে না। এ জন্য একটি মেল-টু-ফিমেল আইসি রেইল (IC rail বা pin header strip) লাগিয়ে নিতে হয়। তালাল দিইয়ে ঝালাই (Solder) করে লাগিয়ে নিতে হবে।
10K পটেনশিওমিটারের দুই পাশের দুই পা ৫ ভােল্ট ও গ্রাউন্ডে গিয়েছে। আর মাঝের আউটপুট পিন গেছে VO pin (pin3)-এ।
একটি 10k ওহম রেজিস্টর যুক্ত করা হয়েছে এলসিডির ১৫ নং পিনের সাথে। এই ১৫ ও ১৬ নং অ্যানােড-ক্যাথডের ফলে স্কিনটি উজ্জ্বলভাবে জ্বলে অর্থাৎ Backlit জ্বালিয়ে রাখার কাজ করে।
৩ নম্বর হচ্ছে ডিসপ্লের কন্ট্রাস্ট পিন,এটি যাবে পটেনশিওমিটারের মাঝের Output Pin এ । এই পিন দিয়ে তুমি আলাের তীব্রতার কমবেশি করতে পারো।
৪ নং হচ্ছে রেজিস্টার সিলেক্ট পিন (RS pin),যাবে Digital pin 12 ৫ নং রিড-রাইট পিন যাচ্ছে গ্রাউন্ডে,এটি ডেটা পড়ব না, ডেটা রাইট করব, এটা জানায়।
৬ নং Enable যাবে Digital pin 11 DO-D7 হচ্ছে ডাটা পিন (data pins)। D0-D3 কোন কানেকশনের প্রয়োজন নেই। ১১ নং D4 pin যাবে digital pin 5 ১২ নং D5 pin যাবে digital pin 4 ১৩ নং D6 pin যাবে digital pin 3 ১৪ নং D7 pin যাবে digital pin 2 ১৫ নং রেজিস্টরের(১০k ohm) সাথে 5V এ, মানে কানেকশনের পজেটিভ অংশের সাথে যুক্ত
১৬ নং যাবে গ্রাউন্ডে বা নেগেটিভ প্রান্তে
শেষের দুইটা পিন, অ্যানােড-ক্যাথড অনেকটা এলইডি বাতির ধনাত্মক-ঋণাত্মক প্রান্তের মতাে কাজ করে। এরা ব্যাকলাইট ঠিক করে ।
এবার আরডুইনাে আইডিই খুলে নিচের কোডটা আপলােড করে দাও।
কোড মিলিয়ে নেও
তােমার LCD তে Hello World! প্রিন্ট করছে!
সিমুলেশনে দেখে নেও সবকিছু ঠিক থাকলে কেমন দেখাবে !
LCD with I2C interface
এলসিডির ১৬ টি পিন নিয়ে কাজ করা কিন্তুু বেশ ঝামেলার বলা চলে । কোন কি সহজ সমাধান আছে এলসিডি নিয়ে কাজ করার??
হ্যা,এই সহজ সমাধানই হলো I2C । এলসিডিতে যেখানে ১৬ টি পিন নিয়ে কাজ করতে হয় সেখানে I2C লাগিয়ে নিলে মাত্র ৪ (চার) টি পিন নিয়ে কাজ করতে হয়!! আবার এর সাথে পটেনশিওপিটার যুক্ত থাকায় আলাদা করে পটেনশিওপিটার যুক্ত করার ঝামেলাও থাকে না।
VCC যাবে +5V
SDA যাবে A4 পিনে
SCL যাবে A5 পিনে
কোড মিলিয়ে নেও
আমার লাইফের রিয়েল-টাইম আপডেট পেতে ফলো করতে পারো ইন্সট্রাগ্রামে: https://www.instagram.com/shemanto_sharkar/
Support my blog: ব্লগের কন্টেন্ট এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল যদি আপনার লাইফে কিছুটা হলেও ইম্পেক্ট ফেলে থাকে তবে আপনি চাইলে এক কাপ কফি কিনে আমাকে সাহায্য করতে পারেন,এতে করে আমি আমার ব্লগ এড ফ্রি ভাবে চালিয়ে যেতে পারবো-