ডেটাটাইপ
পাইথনে ভ্যারিয়েবল ব্যবহার করার পূর্বে তা ডিক্লেয়ার করতে হয় না বা ভ্যারিয়বলের টাইপ বলে দিতে হয় না। পাইথন প্রোগ্রামিং নিয়ে আমরা যখন ভ্যারিয়েবেলে কোন ভ্যালু অ্যাসাইন করে কাজ করছি, তখন এই সব ভ্যালুই কিন্তু একেকটি ডেটা টাইপ। আমরা জেনেছি পাইথন অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ল্যাগুয়েজ। এর প্রত্যেকটা ভ্যারিয়েবলই হচ্ছে এক একটা অবজেক্ট আর ডেটা টাইপ হচ্ছে এর ক্লাস।ফমেমরিতে আমরা ভ্যারিয়েবল হিসাবে অনেক ধরেনের ডেটা রাখতে পারি। যেমন যে কোন নাম্বার, বিভিন্ন লিস্ট, যে কোন টেক্সট ইত্যাদি। এখানে আমরা ছয়টি ডেটা টাইপ সম্পর্কে জানবো।
- Number
- String
- List
- Tuple
- Set
- Dictionary
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার আগে দেখে নিবো ভ্যারিয়েবলে ডেটা কিভাবে এসাইন করতে হয়।
ভ্যারিয়েবলে ডেটা এসাইন করা
পাইথনে ভ্যারিয়েবল নেওয়ার সময় তাতে কোন টাইপের ডেটা রাখবো সেটা বলে দেওয়া লাগে না। ভ্যারিয়েবলে কোনো ডেটা অ্যাসাইন করলে তা অটোমেটিক ডেটা টাইপ সেট করে নেয়।
কোন ভ্যারিয়েবলে ভ্যালু এসাইন করতে “=” চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। যেমন:
আবার
একই ভাবে
নাম্বার (Number)
সব ধরনের নাম্বার রাখার জন্য এই ক্যাটাগরির ডাটা টাইপ ব্যবহার করা হয়। যেমন: integer (পূর্ণ সংখ্যা), floating point numbers (দশমিক সংখ্যা), complex numbers (জটিল সংখ্যা)। কমপ্লেক্স নাম্বার বা জটিল সংখ্যা লিখলে পাইথনে শেষে j যুক্ত করতে হয়। যেমন, x = 1+2j ।
কোনো ভ্যারিয়েবল এর ডাটা টাইপ জানার জন্য type( ) ফাংশন ব্যবহার করা হয়।
String / স্ট্রিং
যে কোন টেক্সট, ক্যারেক্টার প্রকাশের জন্য স্ট্রিং ব্যবহৃত হয়। ডাবল কোটেশন বা সিঙ্গেল কোটেশন মার্ক ব্যাবহার করে স্ট্রিং লিখতে পারি। তবে কিছু সমস্যা এড়াতে (যেমন: ‘It’s Okay’ এই ধরনের টেক্সট এর জন্য) সিঙ্গেল কোটেশন ব্যবহার না করায় শ্রেয়। এছাড়া মাল্টি-লাইন স্ট্রিং এর জন্য আমরা ট্রিপল কোটেশন মার্ক ব্যবহার করতে পারি।
আউটপুটঃ
প্রথমে textToPrint নামে একটা স্ট্রিং ভ্যারিয়েবল নিলাম যেখানে লিখলাম “Hello world!”। এবার এটা প্রিন্ট করলে আউটপুট পাবো Hello world! এরপর ট্রিপল কোটেশনে মাল্টি লাইন স্ট্রিং প্রিন্ট করলাম।
এবার আমরা প্রোগ্রামের সাহায্যে কাউকে হ্যালো বলবো। যাকে হ্যালো বলবো তার নাম name নামে একটা ভ্যারিয়েবল নিয়ে সেখানে রাখবো। তারপর প্রোগ্রামকে বলব যার নাম লিখছি, তাকে হ্যালো জানাতে। যেমন একজনের নাম Minhaz. প্রোগ্রাম প্রিন্ট করবেঃ
এখানে আমরা দুটো স্ট্রিং প্রিন্ট করে + চিহ্ন দিয়ে জোড়া দিয়েছি। এরকম আরো কিছু উদাহরন
প্রথমে প্রিন্ট করবে
ডেটা টাইপ কনভার্ট করা
পাইথনে একটা ডাটা টাইপ কে অন্য ডাটা টাইপে কনভার্ট করা যায়। সেক্ষেত্রে আমাদেরকে int(), float(), এবং complex() এই ফাংশন গুলো ব্যবহার করতে হবে।
আউটপুট:
ব্যাখ্যা: এখানে a এর ভ্যালু প্রথমে ছিলো 143 যেটি একটি ইন্টিজার টাইপ ভ্যালু। পরে সেটাকে আমরা float বা দশমিক সংখ্যা টাইপে নেবার জন্য নতুন একটা ভ্যারিয়েবেল নিয়ে সেখানে float( ) এর ভেতরে a দিয়ে রান করিয়েছি। অর্থাৎ প্রোগ্রামকে বলা হচ্ছে এর ভিতর যেই ভ্যালু আছে সেটাকে float টাইপে কনভার্ট করার জন্য।
ফলে আমরা যখন স্ক্রিনে a প্রিন্ট করেছি, আমাদেরকে এটি ভ্যালু দেখাচ্ছে 143.0। যেটা দশমিক টাইপের।
একইভাবে আমরা পরেরগুলোতে float থেকে int তে কনভার্ট করা হয়েছে। যেখানে int( ) এর মধ্যে b দেওয়া হয়েছে। ফলে b এর ভ্যালু ইন্টিজারে কনভার্ট হয়ে 9 প্রিন্ট হয়েছে যেটা একটি পূর্ণসংখ্যা। আবার একইভাবে int থেকে complex এ কনভার্ট করার জন্য লিখেছি complex( )। ফলে a এর ভ্যালু 143 থেকে পরিবর্তিত হয়ে (143+0j) হয়েছে।
গাণিতিক অপারেশন
আমরা এখন দেখবো কিভাবে দুটো ফাংশন যোগ করা যায়। দুইটি সংখ্যা রাখার জন্য আমরা num1 ও num2 নামে দুইটি ভ্যারিয়েবল ব্যবহার করবো। আর তাদের যোগফল রাখবো sum নামে আরেকটি ভ্যারিয়েবলে। তারপরে সেটি প্রিন্ট করলেই রেজাল্ট দেখতে পাবো।
সহজ ব্যাখ্যাঃ এই কোডটি রান করলে আউটপুট হিসাবে আমরা ২১ দেখতে পাবো। আমরা আগেই জেনেছি ভ্যারিয়েবলে আমরা কোনো কিছুর ভ্যালু স্টোর বা অ্যাসাইন করে রাখতে পারি। এখানে num1 নামের ভ্যারিয়েবলে প্রথম সংখ্যার মান ১২ আর num2 নামের ভ্যারিয়েবলে দ্বিতীয় সংখ্যার মান ৯ অ্যাসাইন করা হয়েছে। পরের লাইনে “+” চিহ্ন দিয়ে দুটো ভ্যারিয়েবল কে যোগ করা হয়েছে ও রেজাল্ট sum নামের ভ্যারিয়েবলে রাখা হয়েছে। পরে সেটা প্রিন্ট করতেই আমরা যোগফল ২১ দেখতে পাবো।
উল্লেখ্য যে, দুটো ভ্যারিয়েবল যোগ করতে হলে তাদের একই ডেটাটাইপ হতে হবে। যদি ভিন্ন হয় তাহলে পাইথন নিজে থেকে পরিবর্তন করে নিবে। যেমন কোনো integer এর সাথে float যোগ করলে যোগফল float হবে। তবে integer এর সাথে স্ট্রিং যোগ করা সম্ভব না।
আউটপুটঃ
ব্যাখ্যাঃ এখানে ইন্টিজার আর float এর যোগফল প্রিন্ট হলেও, ইন্টিজার আর স্ট্রিং এর যোগফল ইরর আসছে।
একইভাবে আমরা দুটো ভ্যারিয়েবলের বিয়োগ, গুন, ভাগ, ভাগশেষ কিংবা বর্গ করতে পারি। পাইথনের গাণিতিক অপারেটর গুলোর তালিকা সিনট্যাক্স (যেভাবে কোড লিখতে হয়) সহ দেওয়া হলো।
ভাগ করা – >>> 5 / 2 2. 5 বিয়ােগ করা – >>> 5 - 2
গুণ করা - >>> 5 * 2
1 )
নিচের কাজটিও ভাগ, তবে ভাগফলের কেবল ইন্টিজার অংশ পাওয়া যাবে >>> 5 // 2
মডুলাস কিংবা ভাগশেষ – >>> 5 8 2
বর্গ করা – >>> 5 ** 25
2

আমার লাইফের রিয়েল-টাইম আপডেট পেতে ফলো করতে পারো ইন্সট্রাগ্রামে: https://www.instagram.com/shemanto_sharkar/
Support my blog: ব্লগের কন্টেন্ট এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল যদি আপনার লাইফে কিছুটা হলেও ইম্পেক্ট ফেলে থাকে তবে আপনি চাইলে এক কাপ কফি কিনে আমাকে সাহায্য করতে পারেন,এতে করে আমি আমার ব্লগ এড ফ্রি ভাবে চালিয়ে যেতে পারবো-