ভ্যারিয়েবল
যে ব্যাপার গুলো পরিবর্তিত হয় সেটাই ভ্যারিয়েবল। প্রতিবছর তোমার বয়স বাড়ে (জয়া আহসান বা পূর্ণিমার ব্যাপারটা আলাদা), প্রতিদিন তুমি আলাদা ধরনের পোশাক পরো, প্রতিবেলায় তুমি বিভিন্ন ধরনের খাবার খাও। এই বিভিন্ন ধরন বা ভ্যারিয়েশন কে আমরা বলতে পারি ভ্যারিয়েবল।
প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে আমরা তাকেই ভ্যারিয়েবল বলতে পারি যার মান পরিবর্তিত হতে পারে। অর্থাৎ আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভ্যালু সেখানে রাখতে পারি। ধরো একটা ভ্যারিয়েবল নিলাম “number” নামে। এখন যদি লিখি number = 1 তাহলে নাম্বারের মান এখন হবে ১। এবার যদি লিখি number = 5 তাহলে নাম্বারের মান হবে ৫। অর্থাৎ বিভিন্ন সময়ে নাম্বারের মান চেঞ্জ করে দেওয়া যাচ্ছে।
এখানে উল্লেখ্য, “=” প্রোগ্রামিংয়ের একটি অপারেটর যার অর্থ ভ্যারিয়েবলে কোনো মান এসাইন করা বা রাখা। এর অর্থ “সমান” না,ঠিক এই জন্যই কিন্তুু print লিখার সময় আমরা "=" দেই নেই। পার্থক্যটা বুঝলে??
পাইথন ভ্যারিয়েবলস (Variables)
প্রোগ্রাম লিখতে আমাদের কম্পিউটারের মেমরিতে ডেটা স্টোর করে রাখতে হয়, যেটা পড়ে প্রয়োজনমত ব্যবহার করা যাবে। ভ্যারিয়েবেলের কাজ হচ্ছে কম্পিউটারে ডাটা স্টোর করে রাখা। সহজ ভাষায়, ভ্যারিয়েবল একটা পাত্রের মত যেখানে তুমি তোমার ইচ্ছামত জিনিস রাখতে পারবে।
ধরো, একটি ফল কুড়ানো ঝুড়ি তোমার কাছে আছে। এই ঝুড়িতে তুমি ফল রাখতে পারো আবার প্রয়োজনে এই ফল ব্যবহার করতে পারো। অর্থাৎ ফল স্টোর করার জন্য ঝুড়িটি ব্যবহার করছো। এই ঝুড়িটিকে আমরা বলছি ভ্যারিয়েবেল । আর ফল হচ্ছে এই ঝুড়ি নামক ভ্যারিয়েবেলটির ভ্যালু (value) ।
এর আগের লেসনে আমরা যে কোডটি রান করেছি সেটা যদি ভ্যারিয়েবল দিয়ে লিখি তাহলে ব্যাপারটি এমন আসে।
এটি রান করলে আমরা আগের মতো স্ক্রিনে Hello World লেখা দেখতে পাবো। এখানে text_to_print হচ্ছে একটি ভ্যারিয়েবল, যেখানে আমি Hello World কথাটি জমা রাখলাম (এসাইন করলাম)। তারপরে সেটি প্রিন্ট করলাম।
ভ্যারিয়েবলের নাম দেওয়ার কিছু নিয়মকানুন আছে। এখন text_to_print না লিখে আমরা অন্য কোনো নামও ব্যবহার করতে পারতাম, যেমন a, b, c, number ইত্যাদি। ভ্যারিয়েবলের নামের নিয়ম নিচে দেওয়া আছে।
কমেন্ট
ছোট কোনো প্রোগ্রাম লিখলে কোন কোডটি কেন লিখেছি সেটা সহজে বুঝা যায়। কিন্তু যখন অনেক বড় প্রজেক্টে কাজ করা হয়, সেখানে লক্ষ লক্ষ লাইনের প্রজেক্ট, সেখানে কোন কোডটা কেন লেখা হয়েছে, বোঝার উপায় আছে? কোন কোড কি কারণে লেখা হয়েছে, তা লিখে রাখার জন্য প্রোগ্রামিং এ কমেন্ট ব্যবহার করা হয়।
পাইথনে এক লাইনের কমেন্ট লেখার জন্য হ্যাস (#) ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ
এখানে কোডটি কেন লিখেছি, তা কমেন্টে লিখে দিয়েছি আমরা। কমেন্ট শুধু মানুষ পড়তে পারে। পাইথন ইন্টারপ্রেটার যখন কোড গুলো এক্সিকিউট করে, তখন এই কমেন্ট গুলো স্কিপ করে যায়।
আমরা চাইলে একের অধিক লাইনের কমেন্টও লিখতে পারি। তার জন্য তিনটা ডাবল কোটেশনের মধ্যে আমাদের কমেন্ট লিখতে হয়। যেমনঃ
ভ্যারিয়েবলের ভ্যালু পরিবর্তন করা
আমরা চাইলে ভ্যারিয়েবেলের ভ্যালু চেঞ্জ করতে পারি। নিচের প্রোগ্রামটি দেখো
এই প্রোগ্রামটি রান করলে আউটপুট আসবে
ভ্যারিয়েবলের নামকরণের নিয়মকানুন
- ভ্যারিয়েবেলের নাম লেখার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইংরেজি বড় হাতের এবং ছোট হাতের অক্ষর (A…Z, a…z), ডিজিট (0,1,…9) এবং আন্ডারস্কোর ( _ ) ব্যবহার করা যাবে। (যেমন, number, point, first_Name, Result ইত্যাদি )
- ভ্যারিয়েবেলের নাম কখনোই সংখ্যা বা ডিজিট (যেমন, 3numbers) দিয়ে শুরু করা যাবে না।
- আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন ভ্যারিয়েবলের নাম অর্থপূর্ণ হয়, মানে ভ্যারিয়েবলের নাম দেখে যেন বুঝতে পারা যায় যে, সেটি কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন: আমরা যদি ক্রিকেট খেলার রান নিয়ে কথা বলি, তাহলে শুধু number বা এই ধরনের কিছু না লিখে লেখা উচিত run।
আমার লাইফের রিয়েল-টাইম আপডেট পেতে ফলো করতে পারো ইন্সট্রাগ্রামে: https://www.instagram.com/shemanto_sharkar/
Support my blog: ব্লগের কন্টেন্ট এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল যদি আপনার লাইফে কিছুটা হলেও ইম্পেক্ট ফেলে থাকে তবে আপনি চাইলে এক কাপ কফি কিনে আমাকে সাহায্য করতে পারেন,এতে করে আমি আমার ব্লগ এড ফ্রি ভাবে চালিয়ে যেতে পারবো-